কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন এবং কোন পূর্ব
নোটিশ ছাড়াই সেই জিয়া কলোনীর ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারকে উচ্ছেদ করতে আসে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করতে আসে পায়রা বন্দরের নিয়োগকৃত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এ সময় পুনর্বাসনের দাবীতে ভুক্তভোগীদের বিক্ষোভের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের।
বিক্ষোভের সময়ে বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতিনিধি ইব্রাহিম শিকারী, মোঃ ফোরকান হাওলাদার, মোঃ নুর হোসেন, আনোয়ার মিরা, মোঃ টিপু, মোঃ মনির হাওলাদার, হাসি বেগম প্রমুখ এছাড়া ১৩৬ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম ফেসবুকে লিখেন যে, "জিয়া কলোনি সংলগ্ন ১৩৬ পরিবার উচ্ছেদ করে রাস্তা নির্মাণে উপজেলা প্রশাসন, কলাপাড়া কিংবা উপজেলা ভূমি অফিস, কলাপাড়া কোনো নির্দেশনা দেয় নি। ১৩৬ পরিবারের থাকার যায়গা নিশ্চিত না করে কোনো উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে না মর্মে ইতোপূর্বে উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত
নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।"
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয় তাৎক্ষনিক সিন্ধান্ত নিয়ে অফিসিয়াল ফেসবুকে লেখায় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলামের প্রশংসা করেছেন ১৩৬ পরিবারের সদস্য সহ কলাপাড়ার সর্ব স্তরের মানুষ।
এ বিষয় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দ্রুত "জিয়া কলোনির ১৩৬ পরিবারের থাকার জায়গা নিশ্চিত করা হবে।