ঢাকা ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরে ভূমি দস্যু সরোয়ার গ্যাং এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের বুড়িরহাটে ভূমি দস্যু সরোয়ার দীর্ঘ দিন অবৈধ ভাবে জমি-দখল ও ভোগ করে আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বুড়িরহাট বটতলায় ভূমি দস্যু সরোয়ারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকার সচেতন নাগরিকবৃন্দ।

মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, ৪০ এর পর জমিদারের কাছ থেকে -নেওয়ার পর আহম্মদ হোসেন ও বজলুর ডাক্তার এর নামে ৫০, ৫০ করে দুই ভাইয়ের চুক্তিপত্রে বা দলিল হয়। পরে ৬২ পরে ২ ভাইয়ের মধ্যে আহাম্মদ হোসেন এর ছেলেরা ৬২ রেকর্ড, দাগ ও খতিয়ান সংযোজন নিজ নামে করে নেয়। আর বাকি জমির দাগ, খতিয়ান বজলুর রহমান নামে থেকে যায়।

বজলুর রহমানের দুই ছেলে আফজালুর ও আনারুল এর ৮ শতক ক্রয় করে মালিক হয় আব্দুল মজিদ জমিদার মেম্বার। তারা ৯২ রেকর্ড মূলে খাজনা খারিজ নাম জারি ইন্টারনেটে প্রদান করে। বর্তমানে আব্দুল জলিল জমিদার মেম্বার এর ২ ছেলে মোঃ গোলাম আজম ও মোঃ গোলাম আজাদ তার স্ত্রী গোলাম্প রেজি ও ২ মেয়ে উক্ত জমির মালিক হয় এবং তারা স্থানীয় রসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু হাসান চঞ্চল এর দায়গ্রস্ত হয় এবং সেই দুই দলকে নিয়ে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিগন সহ কাউন্সিলর অফিসে বসেন। সেখানে রংপুর জজ কোর্ট এর মোঃ ইকবাল হোসেন এ্যাডভোকেট উপস্থিতে থাকেন ও অপর পক্ষে উকিল উপস্থিত থাকে থাকে । কাউন্সিলর দুই পক্ষের কাগজ দেখলে মন্তব্য করার জন্য দুইদলের ১০ জন ১০ জন সদস্য নিয়ে আলাদা ভাবে সিন্ধান্তে বসে। তারা কাগজ-পত্র যাচাই বাচাই করে আব্দুল মজিদ মেম্বার এর সকল কাগজ-পত্র সঠিক আছে। এবং তারা মতামত প্রকাশ করিলে মোঃ সরোয়ার আলম ও সাবেদা বেগম উভয় বিচারের থিমত প্রকাশ করে উঠে চলে যান। পরে এসে ১০ দিন সময় নেয়। তখন থেকে কাউন্সিম্বর দায়গ্রস্ত হয়নি এবং এপর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে আসে নাই। তারা বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে ‘আসিতেছে। জমি তাদের দখল ছেড়ে দিবে না বলে জানান। মোঃ আব্দুল মজিদ এর খাজনা-খারা নামজারি, ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়। আব্দুল মজিদ এর কাগজপত্র সঠিক ও বৈধ থাকায় তার ওয়ারিশগণ বিচারক দের কাছে দায়গ্রস্ত হয়। সে আবারও উপস্থিত হতে অস্বীকার করে। তারা জমির বিষয়ে সরোয়ার কে বললে তারা মারপিট সহ নানান ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার সহ প্রশাসনের সকলের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেন, এবং ভূমি দস্যু সারোয়ারের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করেন।।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নড়াইলে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা !

রংপুরে ভূমি দস্যু সরোয়ার গ্যাং এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন

Update Time : ১০:২৮:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের বুড়িরহাটে ভূমি দস্যু সরোয়ার দীর্ঘ দিন অবৈধ ভাবে জমি-দখল ও ভোগ করে আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বুড়িরহাট বটতলায় ভূমি দস্যু সরোয়ারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকার সচেতন নাগরিকবৃন্দ।

মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, ৪০ এর পর জমিদারের কাছ থেকে -নেওয়ার পর আহম্মদ হোসেন ও বজলুর ডাক্তার এর নামে ৫০, ৫০ করে দুই ভাইয়ের চুক্তিপত্রে বা দলিল হয়। পরে ৬২ পরে ২ ভাইয়ের মধ্যে আহাম্মদ হোসেন এর ছেলেরা ৬২ রেকর্ড, দাগ ও খতিয়ান সংযোজন নিজ নামে করে নেয়। আর বাকি জমির দাগ, খতিয়ান বজলুর রহমান নামে থেকে যায়।

বজলুর রহমানের দুই ছেলে আফজালুর ও আনারুল এর ৮ শতক ক্রয় করে মালিক হয় আব্দুল মজিদ জমিদার মেম্বার। তারা ৯২ রেকর্ড মূলে খাজনা খারিজ নাম জারি ইন্টারনেটে প্রদান করে। বর্তমানে আব্দুল জলিল জমিদার মেম্বার এর ২ ছেলে মোঃ গোলাম আজম ও মোঃ গোলাম আজাদ তার স্ত্রী গোলাম্প রেজি ও ২ মেয়ে উক্ত জমির মালিক হয় এবং তারা স্থানীয় রসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু হাসান চঞ্চল এর দায়গ্রস্ত হয় এবং সেই দুই দলকে নিয়ে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিগন সহ কাউন্সিলর অফিসে বসেন। সেখানে রংপুর জজ কোর্ট এর মোঃ ইকবাল হোসেন এ্যাডভোকেট উপস্থিতে থাকেন ও অপর পক্ষে উকিল উপস্থিত থাকে থাকে । কাউন্সিলর দুই পক্ষের কাগজ দেখলে মন্তব্য করার জন্য দুইদলের ১০ জন ১০ জন সদস্য নিয়ে আলাদা ভাবে সিন্ধান্তে বসে। তারা কাগজ-পত্র যাচাই বাচাই করে আব্দুল মজিদ মেম্বার এর সকল কাগজ-পত্র সঠিক আছে। এবং তারা মতামত প্রকাশ করিলে মোঃ সরোয়ার আলম ও সাবেদা বেগম উভয় বিচারের থিমত প্রকাশ করে উঠে চলে যান। পরে এসে ১০ দিন সময় নেয়। তখন থেকে কাউন্সিম্বর দায়গ্রস্ত হয়নি এবং এপর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে আসে নাই। তারা বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে ‘আসিতেছে। জমি তাদের দখল ছেড়ে দিবে না বলে জানান। মোঃ আব্দুল মজিদ এর খাজনা-খারা নামজারি, ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়। আব্দুল মজিদ এর কাগজপত্র সঠিক ও বৈধ থাকায় তার ওয়ারিশগণ বিচারক দের কাছে দায়গ্রস্ত হয়। সে আবারও উপস্থিত হতে অস্বীকার করে। তারা জমির বিষয়ে সরোয়ার কে বললে তারা মারপিট সহ নানান ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার সহ প্রশাসনের সকলের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেন, এবং ভূমি দস্যু সারোয়ারের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করেন।।