রিয়াজ ফরাজি, বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি:
ভোলার বোরহানউদ্দিনে পৌর যুবদল নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরের দিকে এ হামলা করা হয়। এতে দুই শিশুসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগকারী পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. আবু জাফর মৃধা বলেন, ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির এ হামলার সঙ্গে জড়িত। তার নির্দেশে এ হামলা করা হয়েছে। তার খালাতো ভাই জসিম ফরাজীর নেতৃত্বে ইসমাইল, বাচ্চু পালোয়ান, শাহাবুদ্দিন, নাকশা জামাল, বাবুল আখন, ইটালি মসুসহ অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন একত্রিত আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি জানান, হামলায় তার দুই বছরের শিশু ওসমান গনী ও ছয় বছরের মেয়ে হাবীবা আহত হন। এ ছাড়া রাবেয়া ও সুমনা গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী শিরিনা আক্তার বলেন, দুপুরের দিকে অনেক লোকজন আমার বাসায় আক্রমণ করে। তাদেরকে দেখে আমার বাচ্চারা ভয়ে চেচামেচি করলে আমার কোলের ছেলে ও মেয়েকে পানিতে ফেলে দেয়া হয়। এছাড়া আমার বাড়িতে বেড়াতে আসা অতিথিদের ওপরেও হামলা করা হয়।
শিরিন অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা আমার বাসায় ঢুকে আমার মেয়েকে দেওয়া বিয়ের স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য দামি মালামাল ও নগদ অর্থ লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সাবেক কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির পালোয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গত বৃহস্পতিবার থেকে স্থানীয় নতুন বাজার জামে মসজিদে তাবলিগ-জামায়াতে আছি। আপনারা এসে দেখতে পারেন। তিনি আরো বলেন আমি শুনেছি ফরাজি বাড়ির সামনে স্থানীয় মহিলাদের ঝগড়া হয়েছে। আমি অপরাধী হলে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এ বিষয়ে জসিম ফরাজী বলেন, আমরা ওর বাড়ির দিকেই যাইনি। আবু জাফর নিজে ওর বাসা ভেঙ্গে আমাদের নামে থানায় অভিযোগ করে।
এবিষয়ে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান কবির মিয়া বলেন, আমরা অন্যায়ের পক্ষে নেই। আমি স্থানীয় প্রশাসনকে বলেছি বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি জাব্বারুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।