ঢাকা ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেবরের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টা- মামলায়, ফেঁসে গেছেন ভাবি!

স্টাফ রিপোর্টার: তানজিল হোসেন 

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভুষন থানাধীন চর-কলমি ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মঙ্গল ৯ নং ওয়ার্ড মোঃ ছিদ্দিক এর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা নামের এক নারী আপন দেবর শাহে আলম বেপারি ও ভাগিনা মোঃ মন্জু নামের দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন, যার মামলা নং ১(১০)২৩ বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শশীভুষন থানায় FIR নেওয়া সহ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদনের নির্দেশ দেন।

তার সূত্র ধরে শশীভুষন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক পিপিএম এর বিচক্ষণতার সাথে পুলিশের উপরস্থ কর্মকর্তাদের অবগত করলে মামলাটি লালমোহন সার্কেল অফিসার ও চরফ্যাশন সার্কেল অফিসার সহ এলাকায় তদন্ত করতে গেলে বের হয়ে আসে থলের বিড়াল।

স্থানীয় ভাবে জানা যায় ফজিলাতুন্নেছার সাথে শাহে আলম বেপারীর দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলমান রয়েছে, সর্ব শেষ ফজিলাতুন্নেছার ছেলে ও শাহে আলম বেপারীর ছেলে ক্রিকেট খেলা কে কেন্দ্র করে কয়েক বার কথা কাটাকাটি ও মারামারির সৃষ্টি হয়, তার সূত্র ধরেই মুলত ফজিলাতুন্নেছা দেবর ও ভাগিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত অফিসার শশীভুষন থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) শাহ জালাল রাঢ়ী তদন্ত পূর্বক বাদিনীর অভিযোগটি মিথ্যা বলিয়া আলাদতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করলে, বিজ্ঞ আদালত তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিবাদী মোঃ শাহে আলম বেপারির বিরুদ্ধে হয়রানি ও মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে সে নিজে বাদী হয়ে ফজিলাতুন্নেছাকে বিবাদী করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত অভিযোগটি মঞ্জুর করে অফিসার ইনচার্জ শশীভূষণ থানাকে FIR হিসাবে গণ্য করতে নির্দেশ প্রদান করেন, যাহার মামলা নং ৩(১০)২৪ উক্ত মামলা মূলে ফজিলাতুন্নেছাকে গ্রেফতার পূর্বক শশীভুষন থানা পুলিশ আসামি ফজিলাতুন্নেছাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শশিভূষণ থানা পুলিশ ফজিলাতুন্নেছা নামের ওই নারীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

ফজিলাতুন্নেছা চর মঙ্গল গ্রামের মো. ছিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী এবং ৪ সন্তানের জননী। তার দেবরের নাম মো. শাহে আলম বেপারি।

শশীভুষন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোন নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সুযোগ নেই, মিথ্যা মামলা দেওয়ার অপরাধে ফজিলাতুন্নেছা নামের নারীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।

এই ঘটনাদারা মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতা কমে আসবে বলে তিনি আশা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নড়াইলে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা !

দেবরের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টা- মামলায়, ফেঁসে গেছেন ভাবি!

Update Time : ০৪:৪১:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার: তানজিল হোসেন 

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভুষন থানাধীন চর-কলমি ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মঙ্গল ৯ নং ওয়ার্ড মোঃ ছিদ্দিক এর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা নামের এক নারী আপন দেবর শাহে আলম বেপারি ও ভাগিনা মোঃ মন্জু নামের দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন, যার মামলা নং ১(১০)২৩ বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শশীভুষন থানায় FIR নেওয়া সহ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদনের নির্দেশ দেন।

তার সূত্র ধরে শশীভুষন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক পিপিএম এর বিচক্ষণতার সাথে পুলিশের উপরস্থ কর্মকর্তাদের অবগত করলে মামলাটি লালমোহন সার্কেল অফিসার ও চরফ্যাশন সার্কেল অফিসার সহ এলাকায় তদন্ত করতে গেলে বের হয়ে আসে থলের বিড়াল।

স্থানীয় ভাবে জানা যায় ফজিলাতুন্নেছার সাথে শাহে আলম বেপারীর দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলমান রয়েছে, সর্ব শেষ ফজিলাতুন্নেছার ছেলে ও শাহে আলম বেপারীর ছেলে ক্রিকেট খেলা কে কেন্দ্র করে কয়েক বার কথা কাটাকাটি ও মারামারির সৃষ্টি হয়, তার সূত্র ধরেই মুলত ফজিলাতুন্নেছা দেবর ও ভাগিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত অফিসার শশীভুষন থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) শাহ জালাল রাঢ়ী তদন্ত পূর্বক বাদিনীর অভিযোগটি মিথ্যা বলিয়া আলাদতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করলে, বিজ্ঞ আদালত তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিবাদী মোঃ শাহে আলম বেপারির বিরুদ্ধে হয়রানি ও মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে সে নিজে বাদী হয়ে ফজিলাতুন্নেছাকে বিবাদী করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত অভিযোগটি মঞ্জুর করে অফিসার ইনচার্জ শশীভূষণ থানাকে FIR হিসাবে গণ্য করতে নির্দেশ প্রদান করেন, যাহার মামলা নং ৩(১০)২৪ উক্ত মামলা মূলে ফজিলাতুন্নেছাকে গ্রেফতার পূর্বক শশীভুষন থানা পুলিশ আসামি ফজিলাতুন্নেছাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শশিভূষণ থানা পুলিশ ফজিলাতুন্নেছা নামের ওই নারীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

ফজিলাতুন্নেছা চর মঙ্গল গ্রামের মো. ছিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী এবং ৪ সন্তানের জননী। তার দেবরের নাম মো. শাহে আলম বেপারি।

শশীভুষন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনামুল হক পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোন নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সুযোগ নেই, মিথ্যা মামলা দেওয়ার অপরাধে ফজিলাতুন্নেছা নামের নারীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।

এই ঘটনাদারা মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতা কমে আসবে বলে তিনি আশা করেন।