ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যারা দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করবে, তারা জনগণের উপর বন্দুক তাক করে রয়েছে- রংপুরে জিএম কাদের

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর : বিরোধী দলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, সরকারী দল রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও কর্মকর্তাদের ব্যবহার জনগণের উপর গুলি বর্ষণ করিয়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করে দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে তাদের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যারা দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করবে, তারা জনগণের উপর বন্দুক তাক করে রয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় রংপুরে দু’দিনের সফরে এসে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, সরকার যাদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে তাদের কাউকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার সুযোগ পায়নি। আমার প্রশ্ন হলো তাহলে কেন নির্বিচারে এমন গণহত্যা করা হলো। হেলিকপ্টার থেকে,বাড়ির ছাদ থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিভাবে বুঝলো কে সন্ত্রাসী, কে ভাল, কে শিশু। সরকারের এমন কর্মকান্ডে আজ দেশের অর্থনীতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। দেশে অর্থৈনতিক সমস্যা দেখা দিলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে। আবারও জনগণ মাঠে নামবে, মানুষ মারা যাবে। এক সময় বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে সন্ত্রাসী জাতি হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমি মনেকরি এ থেকে উত্তোরণে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। জিএম কাদের বলেন, সংঘর্ষের শুরু থেকে বিএনপি-জামায়াত বলে বলে যতবার সরকার যেভাবে প্রচার করুক নাকেন, আমি ঢাকায় দেখেছি, মানুষের সাথে কথা বলেছি। জনগণ সরকারের এ কথা গ্রহণ করেনি। এটি জনগণের সংগ্রাম। বিএনপি-জামায়াত-জাতীয় পার্টির কেউ থাকলে তারা ব্যক্তিগতভাবে আন্দোলনে গিয়েছিল। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ নিয়ে জিএম কাদের বলেন, কোন রাজনৈতিক দলকে প্রশাসনিক অর্ডারে বন্ধকরা ঠিক নয়। জনগণ তাদের জন্য কোন রাজনৈতিক দলকে ক্ষতিকারক মনে করণে তারা বয়কট করবে। একসময় সেই রাজনৈতিক দল বিলীন হয়ে যাবে। জোর করে কিছু করলে তাদের যদি গ্রহণযোগ্যতা ও সাংগঠনিককাঠামো থাকে, তাহলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ড হবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এতে করে অস্বাভাবিক রাজনীতির বীজ বপণ হতে পারে। কোটা আন্দোলন নিয়ে জিএম কাদের বলেন, কোটা আন্দোলনে নির্বিচারে যাদের গুলি করে হত্যাকারীদের নিরপেক্ষ তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি। এছাড়া মানুষকে হয়রানি, মামলা মোকদ্দমায় ফেলা হচেছ। মামলা দেওয়া হলো একজনকে পঙ্গু করে দেওয়া। মামলা হলে আদালতে যাওয়া, জামিন নেওয়া, মামলা মোকাবেলা করাসহ নানা সমস্যা জর্জরিত হয়ে ছাত্ররা নিঃস্ব হয়ে যাবে। আমি ছাত্রদের নামে মামলা দেওয়ারঘটনাটি ঘুণার সাথে প্রতিবাদ করি। আওয়ামী লীগও এক সময় বিএনপি দ্বারা এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তখন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা,জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসিরসহ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নড়াইলে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা !

যারা দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করবে, তারা জনগণের উপর বন্দুক তাক করে রয়েছে- রংপুরে জিএম কাদের

Update Time : ০৬:৫১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর : বিরোধী দলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, সরকারী দল রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও কর্মকর্তাদের ব্যবহার জনগণের উপর গুলি বর্ষণ করিয়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করে দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে তাদের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যারা দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করবে, তারা জনগণের উপর বন্দুক তাক করে রয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় রংপুরে দু’দিনের সফরে এসে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, সরকার যাদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে তাদের কাউকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার সুযোগ পায়নি। আমার প্রশ্ন হলো তাহলে কেন নির্বিচারে এমন গণহত্যা করা হলো। হেলিকপ্টার থেকে,বাড়ির ছাদ থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিভাবে বুঝলো কে সন্ত্রাসী, কে ভাল, কে শিশু। সরকারের এমন কর্মকান্ডে আজ দেশের অর্থনীতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। দেশে অর্থৈনতিক সমস্যা দেখা দিলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে। আবারও জনগণ মাঠে নামবে, মানুষ মারা যাবে। এক সময় বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে সন্ত্রাসী জাতি হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমি মনেকরি এ থেকে উত্তোরণে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। জিএম কাদের বলেন, সংঘর্ষের শুরু থেকে বিএনপি-জামায়াত বলে বলে যতবার সরকার যেভাবে প্রচার করুক নাকেন, আমি ঢাকায় দেখেছি, মানুষের সাথে কথা বলেছি। জনগণ সরকারের এ কথা গ্রহণ করেনি। এটি জনগণের সংগ্রাম। বিএনপি-জামায়াত-জাতীয় পার্টির কেউ থাকলে তারা ব্যক্তিগতভাবে আন্দোলনে গিয়েছিল। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ নিয়ে জিএম কাদের বলেন, কোন রাজনৈতিক দলকে প্রশাসনিক অর্ডারে বন্ধকরা ঠিক নয়। জনগণ তাদের জন্য কোন রাজনৈতিক দলকে ক্ষতিকারক মনে করণে তারা বয়কট করবে। একসময় সেই রাজনৈতিক দল বিলীন হয়ে যাবে। জোর করে কিছু করলে তাদের যদি গ্রহণযোগ্যতা ও সাংগঠনিককাঠামো থাকে, তাহলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ড হবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এতে করে অস্বাভাবিক রাজনীতির বীজ বপণ হতে পারে। কোটা আন্দোলন নিয়ে জিএম কাদের বলেন, কোটা আন্দোলনে নির্বিচারে যাদের গুলি করে হত্যাকারীদের নিরপেক্ষ তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি। এছাড়া মানুষকে হয়রানি, মামলা মোকদ্দমায় ফেলা হচেছ। মামলা দেওয়া হলো একজনকে পঙ্গু করে দেওয়া। মামলা হলে আদালতে যাওয়া, জামিন নেওয়া, মামলা মোকাবেলা করাসহ নানা সমস্যা জর্জরিত হয়ে ছাত্ররা নিঃস্ব হয়ে যাবে। আমি ছাত্রদের নামে মামলা দেওয়ারঘটনাটি ঘুণার সাথে প্রতিবাদ করি। আওয়ামী লীগও এক সময় বিএনপি দ্বারা এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তখন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা,জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসিরসহ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।