ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রীয় পাটকল রক্ষা কমিটি গঠন আহবায়ক শমসের, সদস্য সচিব রাজ্জাক তালুকদার

নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা

ক্রিসেন্ট জুটমিল শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১৮ নভেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় ক্রিসেন্ট জুটমিল কারখানা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সভায় বক্তৃতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্লাটিনাম জুটমিল শ্রমিক-কর্মচারী কমিটির আহবায়ক জেষ্ঠ্য শ্রমিকনেতা শহিদুল শরীফ, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, নওয়াপাড়া পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসেদ আলম শমসের, প্লাটিনাম জুটমিল বদলী কমিটির আহবায়ক আবদুর রাজ্জাক তালুকদার, জেজেআই জুটমিল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাবেক নেতা আবদুল গফ্ফার তরফদার, গণসংহতি আন্দোলন ফুলতলা উপজেলা আহবায়ক মোঃ অলিয়ার রহমান শেখ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শেখ, খালিশপুর-দৌলতপুর জুটমিল কারখানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর, ক্রিসেন্ট জুটমিল কারখানা কমিটির সভাপতি শামছুজ্জোহা ডিয়ার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, প্লাটিনাম জুটমিল বদলী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মনু, আলীম জুটমিল শ্রমিকনেতা হামজা গাজী, যশোর কার্পেটিং জুটমিলের শ্রমিকনেতা শরীফুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার হোসেন, স্টার জুটমিলের শ্রমিকনেতা মোঃ আলমগীর হোসেন, ইস্টার্ণ জুটমিলের শ্রমিকনেতা পিপলু সরদার, জেজেহআই শ্রমিকনেতা গণসংহতি আন্দোলন অভয়নগর উপজেলা সদস্য সচিব সামস সারফিন সামন। বক্তারা অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় পাটকল চালু ও খালিশপুর-দৌলতপুরসহ অন্যান্য সকল মিলের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দরা বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে একসাথে রাষ্ট্রের ২৬টি পাটকল বন্ধ করা হয়। বেকার করা হয় হাজার হাজার শ্রমিককে। তখন ৩মাসের মধ্যে মিলগুলো চালুর কথা বলা হলেও দীর্ঘ ৪ বছর পরও মিলগুলো চালু করা হয়নি। বক্তারা আরো বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, গণঅভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়ানো এই সরকার মিলগুলো দ্রুত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চালুর উদ্যোগ নিবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেরকম কোন পরিকল্পনা সরকারের পক্ষ থেকে আমরা দেখছিনা। বরং মিলগুলো লিজে দেয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারও লোকসানের দোহাই দিলেও আমরা যুক্তিপূর্ণভাবে মনে করি, সঠিক পরিকল্পনা-নীতি গ্রহণ ও দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ করতে পারলে পাটশিল্পকে লাভজনক করা সম্ভব।

সভাশেষে সর্বসম্মতিক্রমে শামসেদ আলম শমসেরকে আহ্বায়ক, আব্দুর রাজ্জাক তালুকদারকে সদস্য সচিব ও আক্তার হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট রাষ্ট্রীয় পাটকল রক্ষা কমিটি, যশোর-খুলনা অঞ্চল কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠন শেষে সভা থেকে আগামী শুক্রবার, বিকালে প্রত্যেক মিলগেটে গেটসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রীয় পাটকল রক্ষা কমিটি গঠন আহবায়ক শমসের, সদস্য সচিব রাজ্জাক তালুকদার

Update Time : ০২:০০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা

ক্রিসেন্ট জুটমিল শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১৮ নভেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় ক্রিসেন্ট জুটমিল কারখানা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সভায় বক্তৃতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্লাটিনাম জুটমিল শ্রমিক-কর্মচারী কমিটির আহবায়ক জেষ্ঠ্য শ্রমিকনেতা শহিদুল শরীফ, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, নওয়াপাড়া পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসেদ আলম শমসের, প্লাটিনাম জুটমিল বদলী কমিটির আহবায়ক আবদুর রাজ্জাক তালুকদার, জেজেআই জুটমিল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাবেক নেতা আবদুল গফ্ফার তরফদার, গণসংহতি আন্দোলন ফুলতলা উপজেলা আহবায়ক মোঃ অলিয়ার রহমান শেখ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শেখ, খালিশপুর-দৌলতপুর জুটমিল কারখানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর, ক্রিসেন্ট জুটমিল কারখানা কমিটির সভাপতি শামছুজ্জোহা ডিয়ার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, প্লাটিনাম জুটমিল বদলী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মনু, আলীম জুটমিল শ্রমিকনেতা হামজা গাজী, যশোর কার্পেটিং জুটমিলের শ্রমিকনেতা শরীফুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার হোসেন, স্টার জুটমিলের শ্রমিকনেতা মোঃ আলমগীর হোসেন, ইস্টার্ণ জুটমিলের শ্রমিকনেতা পিপলু সরদার, জেজেহআই শ্রমিকনেতা গণসংহতি আন্দোলন অভয়নগর উপজেলা সদস্য সচিব সামস সারফিন সামন। বক্তারা অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় পাটকল চালু ও খালিশপুর-দৌলতপুরসহ অন্যান্য সকল মিলের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দরা বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে একসাথে রাষ্ট্রের ২৬টি পাটকল বন্ধ করা হয়। বেকার করা হয় হাজার হাজার শ্রমিককে। তখন ৩মাসের মধ্যে মিলগুলো চালুর কথা বলা হলেও দীর্ঘ ৪ বছর পরও মিলগুলো চালু করা হয়নি। বক্তারা আরো বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, গণঅভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়ানো এই সরকার মিলগুলো দ্রুত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চালুর উদ্যোগ নিবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেরকম কোন পরিকল্পনা সরকারের পক্ষ থেকে আমরা দেখছিনা। বরং মিলগুলো লিজে দেয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারও লোকসানের দোহাই দিলেও আমরা যুক্তিপূর্ণভাবে মনে করি, সঠিক পরিকল্পনা-নীতি গ্রহণ ও দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ করতে পারলে পাটশিল্পকে লাভজনক করা সম্ভব।

সভাশেষে সর্বসম্মতিক্রমে শামসেদ আলম শমসেরকে আহ্বায়ক, আব্দুর রাজ্জাক তালুকদারকে সদস্য সচিব ও আক্তার হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট রাষ্ট্রীয় পাটকল রক্ষা কমিটি, যশোর-খুলনা অঞ্চল কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠন শেষে সভা থেকে আগামী শুক্রবার, বিকালে প্রত্যেক মিলগেটে গেটসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।