ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিসি-ওসি’সহ ১৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা! চট্টগ্রামে

বাংলাদেশ জনপদ ডেস্ক : চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে আটক করে নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রামে ১৪ পুলিশের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিরা চট্টগ্রাম মেট্রো-পলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন।

অদ্য ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোঃ জাকির হোসেনের আদালতে মামলাটি করা হয়। তবে এই মামলার আবেদন করেন মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর বড় ভাই মোঃ নজরুল ইসলাম। ভিকটিম নাজমুল হোসেন চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

মামলায় আসামিরা হলেন সি এম পির দক্ষিণ জোনের সাবেক ডিসি মোস্তাফিজুর রহমান, কোতোয়ালি জোনের এসি অতনু চক্রবর্তী, কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি এস.এম ওবায়েদুল হক, বাকলিয়া থানার সাবেক ওসি আফতাব উদ্দিন, কোতোয়ালী থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর (ট্রাফিক) মোঃ মিজানুর রহমান।

সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম, কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মেহেদী হাসান, এসআই গৌতম, বাকলিয়া থানার এসআই মো. মিজান, কোতায়ালী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুবেল মজুমদার, এএসআই রনেশ বড়ুয়া, কোতায়ালী থানার মুন্সী মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. কামাল ও বাকলিয়া থানার কনস্টেবল মো. ইলিয়াছ।

মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়। পরে পুলিশ ছাত্রদের ওপর অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং রাবার বুলেট ছোড়ে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সুস্থ অবস্থায় নাজমুলকে আটক করে শারীরিকভাবে আঘাত করতে করতে পুলিশ বক্সে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ সদস্যরা লোহার স্টিক, বক্সে থাকা স্ট্যাম্প দিয়ে ভুক্তভোগীকে বেধড়কভাবে সারা শরীরে শিবির বলে পেটাতে থাকে। খবর পেয়ে নাজমুলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাকলিয়া থানায় গেলে তাকে ভয়ভীতি দেখায় পুলিশ সদস্যরা।

মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বরূপ কান্তি নাথ কালবেলাকে বলেন, আদালত এটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করে তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া সিআইডিকে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভিকটিম নাজমুল হোসেন, মামলার বাদী মো. নজরুল ইসলাম ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা কেন দেওয়া হবে না, তা ১৪ দিনের মধ্যে জানাতে আসামিদের প্রতি নির্দেশ দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নড়াইলে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা !

ডিসি-ওসি’সহ ১৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা! চট্টগ্রামে

Update Time : ০৫:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ জনপদ ডেস্ক : চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে আটক করে নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রামে ১৪ পুলিশের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিরা চট্টগ্রাম মেট্রো-পলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন।

অদ্য ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোঃ জাকির হোসেনের আদালতে মামলাটি করা হয়। তবে এই মামলার আবেদন করেন মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর বড় ভাই মোঃ নজরুল ইসলাম। ভিকটিম নাজমুল হোসেন চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

মামলায় আসামিরা হলেন সি এম পির দক্ষিণ জোনের সাবেক ডিসি মোস্তাফিজুর রহমান, কোতোয়ালি জোনের এসি অতনু চক্রবর্তী, কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি এস.এম ওবায়েদুল হক, বাকলিয়া থানার সাবেক ওসি আফতাব উদ্দিন, কোতোয়ালী থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর (ট্রাফিক) মোঃ মিজানুর রহমান।

সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম, কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মেহেদী হাসান, এসআই গৌতম, বাকলিয়া থানার এসআই মো. মিজান, কোতায়ালী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুবেল মজুমদার, এএসআই রনেশ বড়ুয়া, কোতায়ালী থানার মুন্সী মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. কামাল ও বাকলিয়া থানার কনস্টেবল মো. ইলিয়াছ।

মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়। পরে পুলিশ ছাত্রদের ওপর অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং রাবার বুলেট ছোড়ে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সুস্থ অবস্থায় নাজমুলকে আটক করে শারীরিকভাবে আঘাত করতে করতে পুলিশ বক্সে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ সদস্যরা লোহার স্টিক, বক্সে থাকা স্ট্যাম্প দিয়ে ভুক্তভোগীকে বেধড়কভাবে সারা শরীরে শিবির বলে পেটাতে থাকে। খবর পেয়ে নাজমুলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাকলিয়া থানায় গেলে তাকে ভয়ভীতি দেখায় পুলিশ সদস্যরা।

মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বরূপ কান্তি নাথ কালবেলাকে বলেন, আদালত এটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করে তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া সিআইডিকে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভিকটিম নাজমুল হোসেন, মামলার বাদী মো. নজরুল ইসলাম ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা কেন দেওয়া হবে না, তা ১৪ দিনের মধ্যে জানাতে আসামিদের প্রতি নির্দেশ দেন।