ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চোরের মত পালিয়েছেন শেখ হাসিনা, ভোলায় জামায়াত নেতা- মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল 

আশিকুর রহমান শান্ত, ভোলা প্রতিনিধি: 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলী চালিয়ে শতশত ছাত্র ও সাধারন মানুষকে হত্যা করে দেশ ছেড়ে চোরের মত পালিয়ে গিয়েছেন স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল।

ভোলায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে অনুদান বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোলা জেলা পরিষদ চত্তরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোলা জেলা জামায়াতের আমির মোঃ জাকির হোসাইন মাষ্টার এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর শুরা ও ভোলা পৌরসভার কর্ম পরিষদ সদস্য মাওঃ মোঃ আতাউর রহমান, জামায়াতে ইসলামী ভোলা পৌর শাখার সেক্রেটারী মোঃ রুহুল আমিন, ভোলা সদর উপজেলা সেক্রেটারী মাওঃ আব্দুল গাফ্ফার, ভোলা সদর উপজেলা আমির মাওঃ কামাল হোসেন, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওঃ মোঃ জাকির হোসেন, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য

আমির হোসেন, জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারী অধ্যাপক জিয়াউল মোর্শেদ, জেলা সেক্রেটারী মোঃ হারুনুর রশিদ, ভোলা জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে কেয়ার টেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে। তারা ১৪, ১৮ ও ২৪ সালে একতরফা নির্বাচন করে দেশটাকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। তারা গুম, খুন ও নির্যাতন চালিয়ে রাজনৈতিক অধিকারকে গলাটিপে হত্যা করে সারা জীবন ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছিল। শেখ হাসিনার তৈরি ভয়ংকর আয়না ঘর সম্পর্কে দেশে বিদেশে কারো কাছেই তথ্য ছিলনা। এ ফেরাউন নমরুদরা আয়না ঘরে আটকিয়ে রেখে, না খাইয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা কোটা আন্দোলন কারীদের রাজাকারের সন্তান বলে উপহাস করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলী চালিয়ে শতশত ছাত্র ও সাধারন মানুষকে হত্যা করে দেশ ছেড়ে চোরের মত পালিয়ে গিয়েছেন। এখন আবার ভারতে বসে ৫ আগস্টে ছাত্র জনতার বিপ্লবকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র করছে। শহীদ আবু সাঈদের বাবা মা বলেছে, আবু সাইদ তো চাকরি চেয়েছিল কিন্তু হত্যা করা হলো কেনো। পানি বিতরনকারী ছাত্রটাকেও গুলী করে মেরে ফেলা হলো। আল্লাহ তাদের পাপকে সহ্য করতে পারেনি। তাই দেশ আজ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে।

জামায়াতে ইসলাম সকল শহীদদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলনে নিহত ভোলায় ৪৬ টি লাশ এসেছে। তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। মতবিনিময় সভা শেষে প্রত্যেক নিহত পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ দুই লক্ষ টাকা করে দেয়া হয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদের চিকিৎসার জন্য আরও বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভোলা সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নড়াইলে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা !

চোরের মত পালিয়েছেন শেখ হাসিনা, ভোলায় জামায়াত নেতা- মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল 

Update Time : ০৩:০৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আশিকুর রহমান শান্ত, ভোলা প্রতিনিধি: 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলী চালিয়ে শতশত ছাত্র ও সাধারন মানুষকে হত্যা করে দেশ ছেড়ে চোরের মত পালিয়ে গিয়েছেন স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল।

ভোলায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে অনুদান বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোলা জেলা পরিষদ চত্তরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোলা জেলা জামায়াতের আমির মোঃ জাকির হোসাইন মাষ্টার এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর শুরা ও ভোলা পৌরসভার কর্ম পরিষদ সদস্য মাওঃ মোঃ আতাউর রহমান, জামায়াতে ইসলামী ভোলা পৌর শাখার সেক্রেটারী মোঃ রুহুল আমিন, ভোলা সদর উপজেলা সেক্রেটারী মাওঃ আব্দুল গাফ্ফার, ভোলা সদর উপজেলা আমির মাওঃ কামাল হোসেন, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওঃ মোঃ জাকির হোসেন, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য

আমির হোসেন, জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারী অধ্যাপক জিয়াউল মোর্শেদ, জেলা সেক্রেটারী মোঃ হারুনুর রশিদ, ভোলা জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে কেয়ার টেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে। তারা ১৪, ১৮ ও ২৪ সালে একতরফা নির্বাচন করে দেশটাকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। তারা গুম, খুন ও নির্যাতন চালিয়ে রাজনৈতিক অধিকারকে গলাটিপে হত্যা করে সারা জীবন ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছিল। শেখ হাসিনার তৈরি ভয়ংকর আয়না ঘর সম্পর্কে দেশে বিদেশে কারো কাছেই তথ্য ছিলনা। এ ফেরাউন নমরুদরা আয়না ঘরে আটকিয়ে রেখে, না খাইয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা কোটা আন্দোলন কারীদের রাজাকারের সন্তান বলে উপহাস করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলী চালিয়ে শতশত ছাত্র ও সাধারন মানুষকে হত্যা করে দেশ ছেড়ে চোরের মত পালিয়ে গিয়েছেন। এখন আবার ভারতে বসে ৫ আগস্টে ছাত্র জনতার বিপ্লবকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র করছে। শহীদ আবু সাঈদের বাবা মা বলেছে, আবু সাইদ তো চাকরি চেয়েছিল কিন্তু হত্যা করা হলো কেনো। পানি বিতরনকারী ছাত্রটাকেও গুলী করে মেরে ফেলা হলো। আল্লাহ তাদের পাপকে সহ্য করতে পারেনি। তাই দেশ আজ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে।

জামায়াতে ইসলাম সকল শহীদদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলনে নিহত ভোলায় ৪৬ টি লাশ এসেছে। তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। মতবিনিময় সভা শেষে প্রত্যেক নিহত পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ দুই লক্ষ টাকা করে দেয়া হয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদের চিকিৎসার জন্য আরও বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভোলা সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।