বিগত দিন থেকে এখন পর্যন্ত সাংবাদিকদের উপরে অমানবিক নির্যাতন হত্যা, হামলা, মামলা সহ একাধিক প্রমাণ রয়েছে। তারপরও সাংবাদিকদের অধিকারের স্বার্থে কোন ধরনের ব্যবস্থা কোন সরকার করতে পারেনি। সরকার চেষ্টা করলে সাংবাদিকদের অধিকারের কথা ভেবে বিশেষ আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে পারে। সেটা হতে পারে সুরক্ষা আইন যা বাস্তবায়নে কোন সরকার এগিয়ে আসেনি। বর্তমান সময়ে সংবাদপত্রের চাহিদা থাকলেও লেখার উপায় থাকে না কারণ কালো আইন।
সাংবাদিকদের কলম রুখে দিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ সহ মোট ৫টি ধারা বিলুপ্ত করে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে, বাংলাদেশের সংসদে কণ্ঠভোটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস হয়।
যে আইনের দ্বারা সাংবাদিকরা নির্যাতিত হয়েছেন লাঞ্ছিত হয়েছেন করেছেন কারাবরণ । আইনটি শুধুমাত্র খারাপ দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় সাংবাদিকদেরকে প্রতিহত করতেই আইন সৃষ্টি হয়েছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) অধীনে গত ৫ বছরে কমপক্ষে ৪৫১ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের লেখা রিপোর্টের জন্য। অন্তত ৯৭ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৫০ জন স্থানীয় সাংবাদিক।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-এর জুলাই পর্যন্ত ১১৯ জন সাংবাদিক নানামুখী হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হন। এদের মধ্যে ৩৮ জন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার এবং ১৯ জন প্রকাশিত সংবাদের জেরে মামলার শিকার হন।
তবে, সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ড ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
যার তদন্ত প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত ১১১ বার পেছানো হয়েছে।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কেন্দ্রীয় কমিটি’র উপ-প্রচার সম্পাদক, প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, এই মুহূর্তে সাংবাদিকদের অধিকারের স্বার্থে যুগ উপযোগী একটি আইন প্রণয়ন করা দরকার। যেখানে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিধান থাকবে এবং সাংবাদিকরা নির্ভয়ে তাদের সংবাদ প্রচার করতে পারবে।
তিনি বলেন, সরকার বিবেচনা করলে দেখা যাবে সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে।