বিনোদন ডেস্ক, বাংলাদেশ জনপদ
ভোলার বোরহানউদ্দিনের সাঁচড়া ইউনিয়নে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে টানা তিনদিন ধরে অনশন করছেন নিপা বেগম (২৩) নামে এক তরুণী। এ ঘটনার জেরে ওই এলাকায় ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। তবে ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছেন প্রেমিক মোহাম্মদ রাকিব। গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে বোরহানউদ্দিনের সাঁচড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাথান গ্রামের কাজী বাড়িতে অনশনে রয়েছেন ওই তরুণী। প্রেমিক মোহাম্মদ রাকিব ওই বাড়ির মোস্তাফিজ কাজীর ছেলে। অনশনে থাকা তরুনী ওই একই গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীরের মেয়ে।
জানা গেছে, রাকিব ও নিপা দুজনই প্রতিবেশী। সেই সুবাধে তাদের মধ্যে গত ৬ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছর। এরপর বিভিন্ন সময়ে ঘুরতে গিয়ে অবৈধ শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। বিষয়টি এতদিন গোপন রাখলেও গত ২৭ অক্টোবর রাকিবের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ার খবরে তার বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন নিপা।
তরুণী নিপা বলেন, “রাকিবের সাথে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সে আমাকে ভোলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করছে। সর্বশেষ চরফ্যাশনে ঘুরতে নিয়েও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ফের আমার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। বিষয়টি এতোদিন আমি গোপন রেখেছি, সে আমাকে বিয়ে করবে বলে।”
তিনি আরও বলেন, “কিন্তু গত ২৭ অক্টোবর থেকে রাকিব আমার সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়। আমি লোকমুখে শুনেছি রাকিব অন্যত্র বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে। যার কারনে আমি আমার পবিত্র ভালোবাসা রক্ষার্থে এবং আমাদের শারীরিক সম্পর্ককে কলঙ্কমুক্ত করতে রাকিবের বাড়িতে এসে গত তিনদিন ধরে অনশন করছি। আমি তার বাড়িতে এসেছি শুনেই সে পালিয়ে গেছে।”
নিপা আরও বলেন, “রাকিব যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি আত্নহত্যা করব। এবং আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি তার বাড়ি থেকে যাব না।”
রাকিবের বাবা মোস্তাফিজ কাজী Dhaka POST’k বলেন, “আমার ছেলেও এই মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের কথা আমাদেরকে এর আগে তারা কেউ বলেনি। আমার ছেলে রাকিব বাড়িতে নেই। কাউকে না জানিয়ে সে ঢাকাতে চলে গেছে। তাকে বাড়িতে আনতে না পারলে আমি এ বিষয়ের সমাধান করব কিভাবে? ”
এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক রাকিবের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান Dhaka POST’k বলেন, “বিয়ের দাবিতে তিনদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনের বিষয়টি এখনো কেউ আমাকে জানাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”