ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি- বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের 

স্টাফ রিপোর্টার: তানজিল হোসেন

সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। অদ্য ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন সড়কে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর অনেক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। সড়ক দুর্ঘটনা বলা হলেও তা নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। গত বছরের ৭ই নভেম্বর রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে এই সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক সৌভিক করিম। তাঁদের মৃত্যুর এক বছর পূর্তিতে আজ মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। কিন্তু এটিকে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা সমাধানে কোনো সমন্বিত উদ্যোগ নিতে আমরা দেখিনি। বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে লুটপাটের প্রধান খাত হয়েছিল সড়ক ও মহা-সড়কগুলো। লুটপাটে তাঁরা যতটা মনোযোগী ছিলেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে ততটা তৎপর ছিলেন না। ’সড়কের নিরাপত্তাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে উল্লেখ করে মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, ‘সড়ককে নিরাপদ করতে আমাদের আবার সরব হতে হবে। সে জন্যই আমরা এই (বাংলামোটর-মগবাজার) সড়কের নাম ‘আরিফ-সৌভিক সড়ক’ করার দাবি জানাই। নিরাপদ সড়ক নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে আমরা সামনের দিনে আরও কর্মসূচি নিয়ে হাজির হব।’

মানববন্ধনে বক্তারা আর-ও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয় বরং কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। রাস্তার দুরবস্থা, যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকা, যানবাহনের ফিটনেস না থাকা এবং অদক্ষ চালকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের, তারা এসব ব্যাপারে উদাসীন। এ কারণেই প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। সড়ক নিরাপদ করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ দেবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, অর্থ সম্পাদক ফারহানা মুনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল-আমিন রহমান, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার প্রমূখ।

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, নিহত সৌভিক করিমের মা রওনক করিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি- বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের 

Update Time : ০৫:২৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার: তানজিল হোসেন

সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। অদ্য ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন সড়কে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর অনেক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। সড়ক দুর্ঘটনা বলা হলেও তা নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। গত বছরের ৭ই নভেম্বর রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে এই সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক সৌভিক করিম। তাঁদের মৃত্যুর এক বছর পূর্তিতে আজ মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। কিন্তু এটিকে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা সমাধানে কোনো সমন্বিত উদ্যোগ নিতে আমরা দেখিনি। বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে লুটপাটের প্রধান খাত হয়েছিল সড়ক ও মহা-সড়কগুলো। লুটপাটে তাঁরা যতটা মনোযোগী ছিলেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে ততটা তৎপর ছিলেন না। ’সড়কের নিরাপত্তাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে উল্লেখ করে মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, ‘সড়ককে নিরাপদ করতে আমাদের আবার সরব হতে হবে। সে জন্যই আমরা এই (বাংলামোটর-মগবাজার) সড়কের নাম ‘আরিফ-সৌভিক সড়ক’ করার দাবি জানাই। নিরাপদ সড়ক নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে আমরা সামনের দিনে আরও কর্মসূচি নিয়ে হাজির হব।’

মানববন্ধনে বক্তারা আর-ও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয় বরং কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। রাস্তার দুরবস্থা, যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকা, যানবাহনের ফিটনেস না থাকা এবং অদক্ষ চালকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের, তারা এসব ব্যাপারে উদাসীন। এ কারণেই প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। সড়ক নিরাপদ করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ দেবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, অর্থ সম্পাদক ফারহানা মুনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল-আমিন রহমান, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার প্রমূখ।

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, নিহত সৌভিক করিমের মা রওনক করিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।