মাহাবুবুর রহমান রনি, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে লেকপাড়ে কালো পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত মরেদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। মরদেহটি ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিক পশ্চিম সস্তাপুর এলাকার ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের। অদ্য বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ ‘গ’ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইসলাম। এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে কুড়িল-কাঞ্চন সড়কের উত্তর পাশে পূর্বাচলের ৫ নম্বর সেক্টর থেকে মরদেহের খণ্ডাংশগুলো উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ বলেছে তিনটি পলিথিনের ব্যাগে একজন পুরুষের পুরো শরীরের অন্তত সাতটি অংশ পাওয়া গিয়েছিল।
জানা গেছে, নিহত জসিম উদ্দিন একজন শিল্পপতি। তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। জসিমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে জসিম গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়ে গুলশান যান। এরপর ব্যক্তিগত গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন, অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরায় ও মোবাইল বন্ধ থাকায় পরদিন গুলশান থানায় তার বড় ছেলে জিডি করেন।
জসিমের বড় ছেলে ওবায়দুল ইসলাম শিবু বলেন, দাড়ি, নখ ও বাম পায়ের কিছু চিহ্ন দেখে বাবার মরদেহ শনাক্ত করি। গত ১০ নভেম্বর বিকেল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি জিডিও করেছি। সেরা করদাতা হিসেবে আমার বাবা একাধিকবার কর বাহাদুর পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি একজন শিল্পপতি। চাঁদ ডায়িং ফ্যাক্টরিসহ আমাদের অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাবার সঙ্গে কারো শত্রুতা রয়েছে বলে জানা নেই।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইসলাম বলেন, আমরা গতকাল (বুধবার) যে খণ্ডিত মরদেহ পেয়েছিলাম, তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিক পশ্চিম সস্তাপুর এলাকার ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, স্থানীয়রা সকালে লেকের পাড়ে তিনটি কালো পলিথিনের ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে এক এক করে পলিথিনের ব্যাগগুলো খুললে একজন পুরুষের শরীরের মাথা, দুটি হাত, শরীরের পেছনের অংশ, নাড়ি ভুঁড়ি, বাম পা, বাম উড়ুর কাটা অংশ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।