ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোলার লালমোহন উপজেলা নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শালিক পাখি মার্কার প্রার্থী আখতার হোসেনের সমর্থকদের সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন “দোয়াত কলম’ প্রতীকের ৪ সমর্থক। এরমধ্যে রুহুল আমিন (৪৮) নামের একজনকে মুমূর্ষ অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকি তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গুরুতর আহত রুহুল আমিন ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকার দানু মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
শুক্রবার ২৪ মে সন্ধ্যায় লালমোহনের কালমা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বারের দোকান নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষ সাক্ষী ইসমাইল বলেন, আমরা সবাই দোকানের সামনে বসে রয়েছি ঠিক সেই মুহূর্তে শালিক পাখি মার্কার প্রার্থী আখতার হোসেনের কর্মীরা এসে সেখানে জিজ্ঞেস করে দোয়াত কলমের সমর্থক কারা এখানে। তখন রুহুল আমিন সহ কয়েকজন বলে ওঠেন আমরা। সাথে সাথে আকতার চেয়ারম্যানের লেলিয়ে দেওয়া সেই সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাদের এলোপাতাড়ি কোপে গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রুহুল আমিন। ঘটনা স্থলে থাকা লোকজনের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত রুহুল আমিন এর ছেলে লিমন বলেন, শালিক পাখি মার্কার সমর্থকদের সন্ত্রাসী হামলায় রামদার কোপে আমার বাবার হাতের আঙ্গুল প্রায় বিচ্ছিন্ন করা হয়। এছাড়াও তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় রুহুল আমিন কে সেখান থেকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে। ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে দায়িত্ব চিকিৎসক রুহুল আমিনের অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি এসএম মাহাবুব উল আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লালমোহন উপজেলায় গতকাল শালিক পাখি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন এর সমর্থকরা লালমোহনে দায়িত্বরত ডিএসবির এএসআই আব্দুল হক এর উপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেন। এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একই প্রার্থীর সমর্থকরা উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারণ জনগণের জীবন যাপনের উপর মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।