ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় পুলিশের গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, ছবি তোলায় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলায় পুলিশের গাড়ির সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেল ৫টার দিকে ভোলা-ভেদুরিয়া আঞ্চলিক সড়কের মধ্য চরনোয়াবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মিঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে ভোলা শহর থেকে গাড়িটি পুলিশ লাইন্সে যাচ্ছিল। মধ্য চরনোয়াবাদ এলাকায় গাড়িটির সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলটির সামনের অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে যায় এবং পুলিশের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা খাদে পড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে সদর থানার ওসি মনির হোসেন মিঞা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ ঘটনায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী ভোলা-ভেদুরিয়া সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। গাড়িটি সদর থানা ওসির অফিসিয়াল গাড়ি।

এদিকে ঘটনার পর স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুর্ঘটনা কবলিত পুলিশের গাড়িটির ছবি তুলতে গেলে উপস্থিত এক পুলিশ কনস্টেবল ওই গণমাধ্যমকর্মীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাকে তুইতোকারি ভাষায় গালমন্দ করেন।

লাঞ্ছনার শিকার গণমাধ্যমকর্মী তানজিল আহমেদ হোসেন জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি। তিনি জানান, পুলিশের দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটির ছবি তুলতে গেলে পুলিশের এক কনস্টেবল তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তিনি নিজেকে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিলে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটির চালক মোহেব উল্লাহ তার সঙ্গে তুইতোকারি করে ভাষা করেন এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এসময় সদর থানার ওসি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার সামনেই তানজিলকে লাঞ্ছিত করা হয়।

পুরো বিষয়টির সম্পর্কে জানতে সদর থানার ওসি মনির হোসেন মিঞাকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এরপর তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নড়াইলে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা !

ভোলায় পুলিশের গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, ছবি তোলায় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত

Update Time : ০৬:১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলায় পুলিশের গাড়ির সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেল ৫টার দিকে ভোলা-ভেদুরিয়া আঞ্চলিক সড়কের মধ্য চরনোয়াবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মিঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে ভোলা শহর থেকে গাড়িটি পুলিশ লাইন্সে যাচ্ছিল। মধ্য চরনোয়াবাদ এলাকায় গাড়িটির সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলটির সামনের অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে যায় এবং পুলিশের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা খাদে পড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে সদর থানার ওসি মনির হোসেন মিঞা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ ঘটনায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী ভোলা-ভেদুরিয়া সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। গাড়িটি সদর থানা ওসির অফিসিয়াল গাড়ি।

এদিকে ঘটনার পর স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুর্ঘটনা কবলিত পুলিশের গাড়িটির ছবি তুলতে গেলে উপস্থিত এক পুলিশ কনস্টেবল ওই গণমাধ্যমকর্মীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাকে তুইতোকারি ভাষায় গালমন্দ করেন।

লাঞ্ছনার শিকার গণমাধ্যমকর্মী তানজিল আহমেদ হোসেন জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি। তিনি জানান, পুলিশের দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটির ছবি তুলতে গেলে পুলিশের এক কনস্টেবল তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তিনি নিজেকে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিলে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটির চালক মোহেব উল্লাহ তার সঙ্গে তুইতোকারি করে ভাষা করেন এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এসময় সদর থানার ওসি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার সামনেই তানজিলকে লাঞ্ছিত করা হয়।

পুরো বিষয়টির সম্পর্কে জানতে সদর থানার ওসি মনির হোসেন মিঞাকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এরপর তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।