ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপগঞ্জের সড়ক মহাসড়কে কোনক্রমেই থামছে না নিষিদ্ধ যানবাহন

মাহাবুবুর রহমান রনি, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : রূপগঞ্জের হাইওয়ে সড়কে হাইওয়ে পুলিশেকে মাসোহারা দিয়েই চলছে নসিমন,করিমন, ভ্যানগাড়ি, অটোরিক্সা ও সিএনজি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও একমাত্র পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে হাইওয়ে সড়কে চলছে এ নিষিদ্ধ যানবাহন। এমন অভিযোগ উঠেছে হাইওয়ে পুলিশের উপর।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে মহামান্য আদালত হাইওয়ে সড়কে থ্রী-হুইলার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একমাত্র হাইওয়ে পুলিশের মাসোহারার কারণেই হাইকোটের রায় অমান্য করে নিষিদ্ধ যানবাহনের চালকরা ব্যস্ততম সড়ক কিংবা মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনুমোদন না থাকার পরেও কিভাবে এসব থ্রী-হুইলার যানবাহন মহাসড়কে চলে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। জানাযায়, হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সড়কে চালাচ্ছে নিষিদ্ধ যানবাহনের চালকরা। সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়, রূপগঞ্জের প্রতিটি সড়ক, মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কে। উপজেলা ভূলতা, কাঞ্চন, রূপসী,বরপা, বরাবর, যাত্রামুড়া, গোলাকান্দাইল, নতুন বাজার, এলাকায় মহাসড়কের উপর গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ থ্রী-হুইলার (তিন চাকার) স্ট্যান। এ সব অবৈধ গাড়ী চলাচলের কারনে সড়ক, মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কসহ উপজেলায় প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ঢাকা, গাজীপুর, ভূলতা বাইপাস সড়কের কাঞ্চন টোলপ্লাজা, কালাদী এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের মায়ার বাড়ি ও কাঞ্চনের চাঁন টেক্সটাইল এলাকায় কয়েকশ নিষিদ্ধ থ্রী-হুইলার যানবাহন চলাচল করে হাইওয়ে পুলিশের মাসোহারার বৃত্তিতে। হাইওয়ে পুলিশের দেওয়া বিভিন্ন ফল,ফুল ও পশুপাখির ছবির স্টিকার দিয়েই অবৈধ গাড়ি সড়কে চলাচলের অনুমোদন নেওয়া হয়। সেগুলোর খবর নিয়ে জানা যায়। নসিমন, ভটভটি, অটোরিক্সা, ভ্যান গাড়ি এই সমস্ত নিষিদ্ধ যানবাহন মাসোহারায় অনুমোদন দেওয়া হয় । নসিমন ও টমটম চালকরা বলেন, এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের কালাদীতে অটো রিক্সা টমটম, নসিমন গাড়ি থেকে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে দিতে হয় হাইওয়ে পুলিশের নিয়োজিত মঞ্জু ও শাওনকে টাকা দিলেই স্টিকার লাগিয়ে দেয় তারা। প্রতি মাসে বিভিন্ন ধরনের স্টিকার যেমন ফুল, বাঘ, সিংহ ও বাণিজ্য মেলার ভবনের ছবি দিয়ে স্টিকার লাগিয়ে চলে এসব অনুমোদনহীন গাড়ি। টাকা না দিয়ে কোন থ্রী-হুইলার (তিন চাকার) গাড়ী সড়কে চলাচল করতে পারেনা। মঞ্জু এবং শাওনের মাধ্যমে স্টিকার বিক্রি করে পুলিশ টাকা নেয় বলে জানান ভুক্তভোগী চালকরা।
অটো রিক্সা চালক কবির বলেন, আমাদের কী দোষ আমার প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে দিয়ে সড়কে গাড়ি চালাই। পুলিশ আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সড়ক, মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কে গাড়ি চালাতে দেয়। এরকমই অভিযোগ উঠেছে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে চালক ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ভূলতা হাইওয়ে পুলিশে ইনচার্জ আলী আশরাফ মোল্লা বলেন, হাইওয়ে পুলিশ কোন যানবাহনে স্টিকার দেয়না। আমরা কোন মাসোহারা নেই না। যেসকল গাড়ি আইন অমান্য করে মহাসড়কে চলাচল করে তাদেরকে আটক করি এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নড়াইলে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা !

রূপগঞ্জের সড়ক মহাসড়কে কোনক্রমেই থামছে না নিষিদ্ধ যানবাহন

Update Time : ১০:১৮:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

মাহাবুবুর রহমান রনি, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : রূপগঞ্জের হাইওয়ে সড়কে হাইওয়ে পুলিশেকে মাসোহারা দিয়েই চলছে নসিমন,করিমন, ভ্যানগাড়ি, অটোরিক্সা ও সিএনজি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও একমাত্র পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে হাইওয়ে সড়কে চলছে এ নিষিদ্ধ যানবাহন। এমন অভিযোগ উঠেছে হাইওয়ে পুলিশের উপর।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে মহামান্য আদালত হাইওয়ে সড়কে থ্রী-হুইলার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একমাত্র হাইওয়ে পুলিশের মাসোহারার কারণেই হাইকোটের রায় অমান্য করে নিষিদ্ধ যানবাহনের চালকরা ব্যস্ততম সড়ক কিংবা মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনুমোদন না থাকার পরেও কিভাবে এসব থ্রী-হুইলার যানবাহন মহাসড়কে চলে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। জানাযায়, হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সড়কে চালাচ্ছে নিষিদ্ধ যানবাহনের চালকরা। সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়, রূপগঞ্জের প্রতিটি সড়ক, মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কে। উপজেলা ভূলতা, কাঞ্চন, রূপসী,বরপা, বরাবর, যাত্রামুড়া, গোলাকান্দাইল, নতুন বাজার, এলাকায় মহাসড়কের উপর গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ থ্রী-হুইলার (তিন চাকার) স্ট্যান। এ সব অবৈধ গাড়ী চলাচলের কারনে সড়ক, মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কসহ উপজেলায় প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ঢাকা, গাজীপুর, ভূলতা বাইপাস সড়কের কাঞ্চন টোলপ্লাজা, কালাদী এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের মায়ার বাড়ি ও কাঞ্চনের চাঁন টেক্সটাইল এলাকায় কয়েকশ নিষিদ্ধ থ্রী-হুইলার যানবাহন চলাচল করে হাইওয়ে পুলিশের মাসোহারার বৃত্তিতে। হাইওয়ে পুলিশের দেওয়া বিভিন্ন ফল,ফুল ও পশুপাখির ছবির স্টিকার দিয়েই অবৈধ গাড়ি সড়কে চলাচলের অনুমোদন নেওয়া হয়। সেগুলোর খবর নিয়ে জানা যায়। নসিমন, ভটভটি, অটোরিক্সা, ভ্যান গাড়ি এই সমস্ত নিষিদ্ধ যানবাহন মাসোহারায় অনুমোদন দেওয়া হয় । নসিমন ও টমটম চালকরা বলেন, এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের কালাদীতে অটো রিক্সা টমটম, নসিমন গাড়ি থেকে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে দিতে হয় হাইওয়ে পুলিশের নিয়োজিত মঞ্জু ও শাওনকে টাকা দিলেই স্টিকার লাগিয়ে দেয় তারা। প্রতি মাসে বিভিন্ন ধরনের স্টিকার যেমন ফুল, বাঘ, সিংহ ও বাণিজ্য মেলার ভবনের ছবি দিয়ে স্টিকার লাগিয়ে চলে এসব অনুমোদনহীন গাড়ি। টাকা না দিয়ে কোন থ্রী-হুইলার (তিন চাকার) গাড়ী সড়কে চলাচল করতে পারেনা। মঞ্জু এবং শাওনের মাধ্যমে স্টিকার বিক্রি করে পুলিশ টাকা নেয় বলে জানান ভুক্তভোগী চালকরা।
অটো রিক্সা চালক কবির বলেন, আমাদের কী দোষ আমার প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে দিয়ে সড়কে গাড়ি চালাই। পুলিশ আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সড়ক, মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কে গাড়ি চালাতে দেয়। এরকমই অভিযোগ উঠেছে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে চালক ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ভূলতা হাইওয়ে পুলিশে ইনচার্জ আলী আশরাফ মোল্লা বলেন, হাইওয়ে পুলিশ কোন যানবাহনে স্টিকার দেয়না। আমরা কোন মাসোহারা নেই না। যেসকল গাড়ি আইন অমান্য করে মহাসড়কে চলাচল করে তাদেরকে আটক করি এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।