রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু সাঈদ। শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে কুটুক্তিমুলক মন্তব্য করছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রোট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। বাঝে মন্তব্যও করেছেন নিজ প্রেসবুক একাউন্টে নির্বাহী কর্মকর্তার উক্ত কর্মকাণ্ডে কঠোর থেকে কঠোরতম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ফুসে উঠেছে পীরগঞ্জবাসী। অদ্য ৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) আবু সাঈদের পরিবার ও সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্তরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মাহমুদ উন নবী চৌধুরী পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক শাহিনুজ্জামান শাহিন, শহীদ আবু সাইদের বড় ভাই রমজান আলী, আবুল হোসেন, ছাত্র সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুল করিম সরকার ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বজ্রকন্ঠে বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের জন্য যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল সে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রথম শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তার এ মৃত্যুতে গোটা দেশ তথা বিশ্বাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তার এ আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে ছাত্র-জনতার যে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল এতে নিহত হয়েছে শতশত ছাত্র জনতা। শেষ পর্যন্ত হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা দেশবাসীসহ গোটা বিশ্বাসীর কাছে এ আন্দোলনে শহীদ গণ সমাদৃত।
অথচ সরকারের একজন কর্মকর্তা হয়ে আবু সাঈদ সম্পর্কে ম্যাজিট্রেট উর্মি যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তা অগ্রহন যোগ্য। ওইদিন বিকালে আবু সাঈদের জন্মস্থান জাফর পাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।